গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাঃ মোস্তাক আহমদ দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের সুসংঠটিত থাকার আহবান জানিয়ে বলেছেন, জাসদ কোন অপশক্তির কাছে মাথানত করেনা।
আমাদের রাজনীতি হচ্ছে জনগনের জন্য। আমাদের কারণে এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। দল সংগঠিত থাকার কারণে জাসদ আজ এ দেশের রাজনীতি অঙ্গঁনে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তিনি যড়যন্ত্রকারীদের হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, ’গোলাপী এখন ঢাকায়’ সিনেমার মতো কোন ভাড়াটে রাজনীতিবীদ এখানে নেই। আমরা কোন ভাঙ্গার কোন রাজনীতি বিশ্বাস করি না। জাসদ এক নেতার এক দল নয়, এটা অনেক বড় দল। তিনি মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর আহবান জানিয়ে বলেন, এরা আমাদের মেহমান। মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে উদ্বাস্তুরা বাংলাদেশে এসেছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে তারা তাদের দেশে চলে যাবে। তাই তাদের সাথে আমরা ভাল আচরণ করতে হবে। শনিবার (৩০) সেপ্টেম্বর দুপুরে গোলাপগঞ্জ উপজেলা জাসদের কর্মী সমাবেশ প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন তিনি। উপজেলার ভাদেশ্বরের নালিউরিস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সমাবেশে উপজেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল মহসিন চৌধুরীর সভাতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিনের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় জাসদের সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব কলন্দর আলী, যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি শামীম আহমদ, কেন্দীয় যুগ্ন সম্পাদক করিম সিকদার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির আহমদ, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাহাত কবির, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বক্তব্য রাখেন, জাসদ নেতা খছরাজ্জামান, আতাউর রহমান খলা, আফজাল হোসেন রফি, আশরাফ উদ্দিন, মোস্তফা উদ্দিন, ছালিক আহমদ, আব্দুল বাছির, মুজিবুর রহমান, সমশের আলম, কবির আহমদ, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ ও ইকবাল আহমদ।
সমাবেশের পর উপজেলা জাসদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে প্রবীন রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল মহসিনকে সভাপতি, তাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক ও আফজাল হোসেন রফিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে উপজেলা শাখা গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি ছালিক আহমদ, মোস্তাক উদ্দিন ও আতাউর রহমান কলা, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ খছরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মুহিবুর রহমান হেলাল, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল উদ্দিন চুনু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল লতিফ, জনসংযোগ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, সমাজসেবা সম্পাদক ইকবাল আহমদ, কৃষি সমবায় ও কৃষি শ্রমিক বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছ আলী, নারী বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ারা বেগম, শিক্ষা বিষয় সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, স্থানীয় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী বিষয়ক সম্পাদক জনা লাল মালাকার, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বিমান চন্দ্র দেব। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, আব্দুর রহমান, তবারক আলী সাগর, আব্দুল কাদির, হাসনাত আহমদ, আহবাব উদ্দিন, ওয়াহিদ আহমদ, ছয়ফুল ইসলাম, আহসান উদ্দিন, রাজু ও সজু মিয়া। এ সময় কমিটির অনুমোদন করেন জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। পরে তাদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।